বুধবার দাঁতনের
মোগলমারি বৌদ্ধবিহার
পরিদর্শন করলেন
রাজ্য পুরাতত্ত্ব
বিভাগের অধিকর্তা
গৌতম সেনগুপ্ত,
উপ-অধিকর্তা
অমল রায়,
বিডিও জ্যোতি
ঘোষ।
এ দিন
গৌতমবাবু মোগলমারিতে
খননকালে পাওয়া
প্রবেশদ্বার, স্ট্যাকোর (চুন, মার্বেল গুড়োর
মণ্ড ও
বালির মিশ্রণ)
দেওয়াল ও
সীমানা পাঁচিল
ঘুরে দেখেন। স্থানীয়
‘তরুণ সেবা
সঙ্ঘে’র
যুগ্ম-সম্পাদক
অতনু প্রধানের
থেকে তিনি
এলাকার খুঁটিনাটি
জানেন।
গৌতমবাবু বলেন,
“ষষ্ঠ শতকের
সমসাময়িক এই বৌদ্ধস্তূপটি বাংলার মধ্যে
প্রাচীন।
তবে এটিকে
পূর্ব ভারতের
অন্য পুরাতাত্ত্বিকস্থল
বরেন্দ্র, মগধ ও কলিঙ্গ এলাকার
পরিপ্রেক্ষিতে বৃহত্তর ভাবে দেখতে হবে।”
Monday, December 30, 2013
Saturday, December 28, 2013
Thursday, December 19, 2013
Gupta period gold coin, locket found (THE TIMES OF INDIA) 19.12.2013
KOLKATA/DANTAN: A wave of excitement swept the Moghalmari excavation site
near Dantan on Wednesday following the chance discovery of a gold coin
and a locket. Though yet to be confirmed, archaeologists feel the
exhibits belong to the sixth century AD, which is generally known as
the Gupta period in ancient history. It is also known as King
Shashanka's reign in the history of Bengal.
In 2003, when
Indologist BN Mukherjee had visited Dantan to document Bengal's
navigational history, he came across a huge mound at Moghalmari, which
the locals call Sakhi Sena or Sashi Sena. They told him that underneath
the mound lay the state's oldest Buddhist monastery, which might even
beat the Raktamrittika Vihara of Murshidabad (erstwhile Karnasuvarna)
in age. Chinese scholar Hiuen Tsang had mentioned the existence of an
old Buddhist monastery in Bengal that was older than Raktamrittika.
However, this was never found and historians felt the excavation might
finally bring the age-old mystery to an end.
At the behest of Mukherjee, the Calcutta University
took up the excavation project at Moghalmari. Gradually, a tri-ratha
structure, typical of Buddhist monastic architecture complete with
innumerable cells for the monks was unearthed.
The nature of
the architecture proves that construction and growth here happened in
two phases. The first was between the sixth and seventh century while
the second was in the ninth and 10th century.
The CU
excavation happened in phases and was sponsored by the Archaeological
Survey of India. It drew its conclusions about the sixth century
monastery. In March, on the basis of these conclusions, the state
archaeological department declared Moghalmari as a protected site and
on November 20 re-started the excavation.
The gold coin found
on Wednesday has the image of a king on one side and a goddess on the
other. The locket, on the other hand, has standing images engraved on
it. "Though we have sent the exhibits for inspection so that their
antiquity could be ascertained, it is possible that they belong to the
sixth century," said Amal Roy, deputy director of the state
archaeological department.
Once this is established, it will
be proved that the monastery was indeed built in the Vajrayana phase of
the propagation of Buddhism. At this time, deity worship was slowly
making inroads into Buddhism, explained archaeologist Durga Basu.
Wednesday, December 18, 2013
Wednesday, December 11, 2013
Tuesday, December 3, 2013
Monday, November 25, 2013
Sunday, November 24, 2013
From:Chinese Archaeology Writer: Date:2008-01-24
The Institute of Archaeology, Chinese Academy of Social Sciences (IA CASS)
DATTA, Asok (Department of Archaeology University of Calcutta India)
Discovery
of a Pre-Pala Monastic complex at Moghalmari, Dantan, West- Midnapur,
West-Bengal by the Department of Archaeology, University of Calcutta.
Panel: No
The Department of Archaeology, University of Calcutta under the
direction of Dr. Asok Datta and assisted by other faculty members, Ph.D
students and technical staffs resumed the excavation at Moghalmari since
15th Feb. 2007. The excavation has so far revealed the
existence of the Pre-Pala (possibly seventh/eighth century A.D. )
Buddhist monastic complex (es) with extensive stucco and / or lime
decoration on the eastern part of the mound. These exquisite decorative
elements in stucco / lime are unique in eastern India. Embellishments on
the frontal wall the temple in particular and the monastic
establishment(s) in general will definitely throw new light not only on
the early medieval history of western Midnapur, but also on that of
entire West- Bengal. The Buddhistic character of the monastery is
further supported by the discovery of a stone sculpture from stratified
context representing the Buddha in the well known bhumisparshamudra.
The discovery of the Mogalmari monastic complex (es) is unquestionably
comparable to those discovered at Nalanda (South Bihar), Raktamrittika
(Chhiruti, Murshidabad) and Nandadirgghika (Jagajibanpur, Malda)
The earlier of excavation in 2003- 04 at the same site had revealed the existence of terracotta stupa bases
and clear indication of the alignments of a huge monastic complex. The
monastic complex is dated on the basis of a terracotta inscription in
Post – Gupta Brahmi character of c. early 6th- 7th
century A.D. (found earlier), stucco / lime decoration which is
definitely Pre – Pala character and the Buddhist stone image. Special
mention may be made of an inscribed terracotta seal matrix having
multiple impressions recording some personal names, the characters of
which can fairly be dated to the seventh century A.D.
The excavation further reveals series of cells attached to the
outer wall of the monastery in the western part of the mound and the
temple complex to the eastern part of the mound. Besides, the excavation
has also yielded terracotta lamps, iron nails as well as a commendable
variety of ceramics including red, buff and different shades of grey
wares. The structure possibly represents the largest monastic complex in
West – Bengal.
The Dantan monastic complex at Moghalmari was not grown in
isolation; it is established from both literary and archaeological
evidences that in the past a trade route probably located in the close
vicinity of the site connecting Tamralipta with other Buddhist monuments
in Orissa beyond Suvarnarekha viz. Jayrampur, Khiching, Baleswar
(Lalitgiri) of Orissa or Oddra and Nalanda, Bodhgaya of ancient Magadha.
Hence the prosperity of the site (Moghalmari monastic complex) was no
doubt due to its location on the above noted trade routes dating back to
the fifth/sixth century AD onwards. The present paper attempts to
present a comprehensive picture of the pre-pala monastic complex (es) as
revealed through recent excavation.
Friday, November 22, 2013
Anandabazar Patrika
প্রত্নস্থল রক্ষায় কাঁটাতারের বেড়া :
নিজস্ব সংবাদদাতা : দাঁতন
গুপ্তযুগের নিদর্শন মোগলমারি
বৌদ্ধবিহারের প্রত্নস্তূপটিকে ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করল
প্রশাসন। এতদিন অরক্ষিত থাকায় খুঁড়ে তোলা মাটি ও ইট চুরি হচ্ছিল
বৌদ্ধবিহারের। গত ২৭ মে প্রত্নস্থলটি পরিদর্শনে আসেন পশ্চিম মেদিনীপুরের
জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী ও মেদিনীপুরের
প্রাক্তন জেলা জজ মীর দারা শিকো। তখন মোগলমারি প্রত্নক্ষেত্রটির মালিকানায়
থাকা তরুণ সেবা সঙ্ঘ ও পাঠাগারের তরফে জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানানো হয়
প্রত্নক্ষেত্রটির চারদিক ঘিরে দেওয়ার জন্য। যদিও এর আগে রাজ্য সরকারের
তরফে প্রত্নক্ষেত্রটির সংরক্ষণের জন্য ৫০ লক্ষ ও একটি মিউজিয়াম তৈরির জন্য
৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দাঁতন ১-এর বিডিও জ্যোতি ঘোষ বলেন,
“রাষ্ট্রীয় সমবিকাশ যোজনায় জেলাশাসক ২ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ করেন
প্রত্নক্ষেত্রটির চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য। ২৯০ মিটার
পরিসীমায় ওই বেড়ার কাজ শুরু হয়েছে।” সঙ্ঘের যুগ্ম সম্পাদক অতনু প্রধান
জানান, “মানুষ ও গবাদি পশুর অবাধ বিচরণের পাশাপাশি, স্তূপ থেকে মাটি ও
খোঁড়া ইট চুরি হচ্ছিল রাত-বিরেতে। যার ফলে ক্ষতি হচ্ছিল বৌদ্ধবিহারের
কাঠামো ও স্তূপটির। এ বার সেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা যায়। সঙ্ঘের
পক্ষ থেকে স্তূপটির পূর্ব ও পশ্চিম দিকের বেড়ার বাইরে গাছ লাগানোর
পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”
Saturday, November 16, 2013
Anandabazar Patrika (16th November'2013) :
ফের খননকার্য শুরু হচ্ছে মোগলমারিতে :
প্রায় ন’বছর খননকাজ চালিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতত্ত্ব বিভাগ আবিষ্কার করেছিল একটি ‘বৌদ্ধবিহার’। ২০০৩-০৪ সাল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের মোগলমারিতে ছ’দফায় উৎখনন ও প্রচারের আলোয় এসেছিল সেই বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ। দেড় বছর আগে শেষ হওয়া খননকাজের পরে থমকে ছিল তার সংস্কার। তাই এর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল স্থানীয়দের মনে। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফের খনন করে সংরক্ষণ ও সংগ্রহশালা গড়তে চলেছে রাজ্য পুরাতত্ত্ব ও সংগ্রহালয় বিভাগ। শুক্রবার দুপুরে তারই প্রস্তুতিতে মোগলমারিতে বিভাগের উপ-অধিকর্তা অমল রায়ের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে এলেন।
খননকার্য শুরু হবে ২০ নভেম্বর থেকে। খননের প্রাথমিক খরচের জন্য ৮ লক্ষ টাকা বিডিও-কে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ৭৫ লক্ষ টাকা দ্বিতল একটি সংগ্রহশালা ভবন গড়ার জন্য বরাদ্দ হয়েছে। অমলবাবু বলেন, “এই এলাকাটি মার্চেই সৌধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা একটি এই সংক্রান্ত বোর্ডও এখানে এ বার লাগাব। জমি নিয়েও কোনও সমস্যা নেই।” যদিও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা যে বৌদ্ধবিহার বলে ঘোষণা করেছিলেন। সে প্রসঙ্গে অমলবাবু বলেন, “বৌদ্ধবিহার কি না তা সম্পূর্ণ খনন না হওয়ার আগে এখনই বলা যাবে না।”
বস্তুত, পশ্চিম মেদিনীপুরের যে ক’টি স্থান ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে, তার মধ্যে দাঁতন অন্যতম। এই এলাকার নামকরণ নিয়েও নানা মত রয়েছে। তবে অধিকাংশরই মতে এই নামকরণ বুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে। বৌদ্ধ গ্রন্থ দাঠাবংশের বিবরণ অনুযায়ী, খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকে বুদ্ধের একটি দাঁত এই স্থানে ছিল। সেই সময় থেকেই এই স্থানটির নাম হয়ে যায় দন্তপুর। অনেকের মতেই এই দন্তপুরই আসলে দাঁতন।
পরে হিউয়েন সাং-ও তাম্রলিপ্ত বন্দরে একাধিক বৌদ্ধবিহারের কথা বলেছিলেন। দাঁতনের মোগলমারিতে ছ’টি দফায় উৎখননের পরে এটিকে হিউয়েন সাং বর্ণিত তাম্রলিপ্ত এলাকার একটি বৌদ্ধবিহার বলেই দাবি করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রয়াত অধ্যাপক অশোক দত্ত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রত্নস্থলটি খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর সমসাময়িক। ২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত উৎননের পর এই বৌদ্ধবিহারটি আরও স্পষ্ট হয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের খননকালে এই বিহারের সীমানা প্রাচীরটির চারিদিকে প্রদক্ষিণ পথ রয়েছে। এ ছাড়াও আবিষ্কার হয়েছে স্টাকো (চুন, মার্বেল গুঁড়ো ও বালির মিশ্রণ), অলঙ্কৃত দেওয়াল, স্টাকো নির্মিত ১৪টি মূর্তি, ৪২ রকমের কারুকার্যে মোড়া ইট, পোড়ামাটির কিছু বাসনপত্র, ২০টি উৎসর্গ ফলক ইত্যাদি। গত বছরের ২৩ মে পর্যন্ত চলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধানপর্ব। তবে ধ্বংসের আশঙ্কায় এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল আগেই। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের চাহিদায় একটি পঞ্চায়েত সমিতি, একটি দাঁতন ভট্টর কলেজ ও একটি যে এলাকায় বৌদ্ধবিহার, সেখানকার তরুণ সেবা সঙ্ঘের উদ্যোগে মোট তিনটি ছাউনি দিয়ে কোনও রকমে খোলা রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। তবে যথাযথ সংরক্ষণ না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে স্টাকোর কাজ। এ দিকে বর্ষা ও পুজোর সময়ের ঝড়-বৃষ্টিতে অনেকাংশেই জল ঢোকায় ক্ষতি হয়েছে চুনের আস্তরণের। এই নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছিল বাসিন্দাদের। ওই খননে মজুরের কাজ করেন স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীকান্ত সাহু। তিনি বলেন, “অনেকদিন কাজ বন্ধ ছিল। খনন কাজ হলে এলাকার মানুষ হিসেবে কিছু রোজগারের সুযোগ পাই। আবার ওঁরা এসেছেন শুনছি। খোঁড়াখুঁড়ি হবে। আবারও কিছু কাজ পাব ভেবে ভাল লাগছে।”
তরুণ সেবা সঙ্ঘের যুগ্ম সম্পাদক অতনু প্রধান বলেন, “এত দিন কোনও সংস্কার না হওয়ায় অবহেলায় পড়ে রয়েছে এত বড় আবিস্কার। গত বর্ষায় খোলা ট্রেঞ্চে জল জমেছে। ক্ষয়ে গিয়েছে স্টাকোর কাজ। খননকার্যের সঙ্গে সংরক্ষণ হলে এটা এড়ানো যেত। খননকার্য ও সংরক্ষণের কাজে জন্য রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। আমাদের আশার আলো জেগেছে তবে এখন কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কিছুই আর বিশ্বাস হয় না।” অমলবাবু বলেন, “যা দেখছি তাতে পুরো কাজ সম্পন্ন হতে প্রায় ১০ বছর লাগবে। আমরা আপাতত মার্চ পর্যন্ত থাকার পরিকল্পনা নিয়েছি। যদিও আমাদের লাইসেন্স রয়েছে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রথমে সমীক্ষা শুরু হয়ে গেলেই উৎখনন হবে। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য পুরোটা উন্মুক্ত করা। এর পরই সংরক্ষণ। এ কাজে টাকার কোনও অভাব হবে না।”
খননকার্য শুরু হবে ২০ নভেম্বর থেকে। খননের প্রাথমিক খরচের জন্য ৮ লক্ষ টাকা বিডিও-কে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ৭৫ লক্ষ টাকা দ্বিতল একটি সংগ্রহশালা ভবন গড়ার জন্য বরাদ্দ হয়েছে। অমলবাবু বলেন, “এই এলাকাটি মার্চেই সৌধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা একটি এই সংক্রান্ত বোর্ডও এখানে এ বার লাগাব। জমি নিয়েও কোনও সমস্যা নেই।” যদিও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা যে বৌদ্ধবিহার বলে ঘোষণা করেছিলেন। সে প্রসঙ্গে অমলবাবু বলেন, “বৌদ্ধবিহার কি না তা সম্পূর্ণ খনন না হওয়ার আগে এখনই বলা যাবে না।”
বস্তুত, পশ্চিম মেদিনীপুরের যে ক’টি স্থান ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে, তার মধ্যে দাঁতন অন্যতম। এই এলাকার নামকরণ নিয়েও নানা মত রয়েছে। তবে অধিকাংশরই মতে এই নামকরণ বুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে। বৌদ্ধ গ্রন্থ দাঠাবংশের বিবরণ অনুযায়ী, খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকে বুদ্ধের একটি দাঁত এই স্থানে ছিল। সেই সময় থেকেই এই স্থানটির নাম হয়ে যায় দন্তপুর। অনেকের মতেই এই দন্তপুরই আসলে দাঁতন।
পরে হিউয়েন সাং-ও তাম্রলিপ্ত বন্দরে একাধিক বৌদ্ধবিহারের কথা বলেছিলেন। দাঁতনের মোগলমারিতে ছ’টি দফায় উৎখননের পরে এটিকে হিউয়েন সাং বর্ণিত তাম্রলিপ্ত এলাকার একটি বৌদ্ধবিহার বলেই দাবি করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রয়াত অধ্যাপক অশোক দত্ত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রত্নস্থলটি খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর সমসাময়িক। ২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত উৎননের পর এই বৌদ্ধবিহারটি আরও স্পষ্ট হয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের খননকালে এই বিহারের সীমানা প্রাচীরটির চারিদিকে প্রদক্ষিণ পথ রয়েছে। এ ছাড়াও আবিষ্কার হয়েছে স্টাকো (চুন, মার্বেল গুঁড়ো ও বালির মিশ্রণ), অলঙ্কৃত দেওয়াল, স্টাকো নির্মিত ১৪টি মূর্তি, ৪২ রকমের কারুকার্যে মোড়া ইট, পোড়ামাটির কিছু বাসনপত্র, ২০টি উৎসর্গ ফলক ইত্যাদি। গত বছরের ২৩ মে পর্যন্ত চলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধানপর্ব। তবে ধ্বংসের আশঙ্কায় এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল আগেই। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের চাহিদায় একটি পঞ্চায়েত সমিতি, একটি দাঁতন ভট্টর কলেজ ও একটি যে এলাকায় বৌদ্ধবিহার, সেখানকার তরুণ সেবা সঙ্ঘের উদ্যোগে মোট তিনটি ছাউনি দিয়ে কোনও রকমে খোলা রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। তবে যথাযথ সংরক্ষণ না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে স্টাকোর কাজ। এ দিকে বর্ষা ও পুজোর সময়ের ঝড়-বৃষ্টিতে অনেকাংশেই জল ঢোকায় ক্ষতি হয়েছে চুনের আস্তরণের। এই নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছিল বাসিন্দাদের। ওই খননে মজুরের কাজ করেন স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীকান্ত সাহু। তিনি বলেন, “অনেকদিন কাজ বন্ধ ছিল। খনন কাজ হলে এলাকার মানুষ হিসেবে কিছু রোজগারের সুযোগ পাই। আবার ওঁরা এসেছেন শুনছি। খোঁড়াখুঁড়ি হবে। আবারও কিছু কাজ পাব ভেবে ভাল লাগছে।”
তরুণ সেবা সঙ্ঘের যুগ্ম সম্পাদক অতনু প্রধান বলেন, “এত দিন কোনও সংস্কার না হওয়ায় অবহেলায় পড়ে রয়েছে এত বড় আবিস্কার। গত বর্ষায় খোলা ট্রেঞ্চে জল জমেছে। ক্ষয়ে গিয়েছে স্টাকোর কাজ। খননকার্যের সঙ্গে সংরক্ষণ হলে এটা এড়ানো যেত। খননকার্য ও সংরক্ষণের কাজে জন্য রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। আমাদের আশার আলো জেগেছে তবে এখন কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কিছুই আর বিশ্বাস হয় না।” অমলবাবু বলেন, “যা দেখছি তাতে পুরো কাজ সম্পন্ন হতে প্রায় ১০ বছর লাগবে। আমরা আপাতত মার্চ পর্যন্ত থাকার পরিকল্পনা নিয়েছি। যদিও আমাদের লাইসেন্স রয়েছে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রথমে সমীক্ষা শুরু হয়ে গেলেই উৎখনন হবে। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য পুরোটা উন্মুক্ত করা। এর পরই সংরক্ষণ। এ কাজে টাকার কোনও অভাব হবে না।”
Friday, November 1, 2013
Moghalmari excavation to start again.
TIMES NEWS NETWORK (THE
TIMES OF INDIA 1ST NOVEMBER'2013)
Kolkata: A full-fledged
archaeological excavation to unearth a seventh century Buddhist monastery will
start this month at Dantan in West Midnapore.
The excavation, to kick start on November 20, will be done by the archaeologists of the state archaeological directorate. Since 2003, the Calcutta University has been investigating if the mound at Moghalmari, a few kilometres from Dantan, has remnants of a 1300-year-old Buddhist monastery, which had perhaps been in existence at the time of Chinese scholar Hiuen Tsang who had travelled extensively in India.
The university was able to establish the existence of the monastery through its preliminary excavations. The antiques that were unearthed have been documented and a portion of the monastery was also brought out of the mound. However, the university with its limited means was not able to complete the mammoth excavation required to unearth the entire monastery that was developed over two historical ages. The university’s project was partly funded by the Archaeological Survey of India (ASI) and the latter had even shown a lot of interest in taking over the project from the university and declaring Moghalmari an ASI “protected site.”
However, the proposal got tangled in red tapism and the excavation had to be stopped two years back.
“We have conducted a detailed survey of the Moghalmari site and examined the antiquities to conclude that the remnants of a seventh century Buddhist monastery might exist there. We will start excavation on November 20 and only thereafter be able to put our seal on the findings,” said Gautam Sengupta, director of state archaeology directorate.
Chinese scholar Hiuen Tsang in his memoirs, dating back to the seventh century, had written about some prominent Buddhist monasteries in Tamralipta state (where Dantan is located). However, apart from the one at Karna Subarna (today’s Murshidabad), no one has been able to trace any monastery anywhere in Bengal.
In 2003, Indologist and coins expert B N Mukherjee, along with some CU scholars, had first visited Dantan to document the navigational history of Bengal. During their recce, these scholars were shown a huge mound at Moghalmari which was popular in local lore as Sashi Sena or Sakhi Sena.
“As the partly excavated site stands now, it is an 11-feet high plinth with divine, human, animal, floral and abstract stucco figures on it. It is a tri-ratha structure, typical of Buddhist monastic architecture, complete with innumerable cells for the monks to live in. The large number of cells indicate that it was a huge monastery. Besides royal patronage from Shashanka, the monastery was patronized by merchants who used the Dantan port,” said Rajat Sanyal, a CU archaeology faculty member who has been part of the excavating team.
The excavation, to kick start on November 20, will be done by the archaeologists of the state archaeological directorate. Since 2003, the Calcutta University has been investigating if the mound at Moghalmari, a few kilometres from Dantan, has remnants of a 1300-year-old Buddhist monastery, which had perhaps been in existence at the time of Chinese scholar Hiuen Tsang who had travelled extensively in India.
The university was able to establish the existence of the monastery through its preliminary excavations. The antiques that were unearthed have been documented and a portion of the monastery was also brought out of the mound. However, the university with its limited means was not able to complete the mammoth excavation required to unearth the entire monastery that was developed over two historical ages. The university’s project was partly funded by the Archaeological Survey of India (ASI) and the latter had even shown a lot of interest in taking over the project from the university and declaring Moghalmari an ASI “protected site.”
However, the proposal got tangled in red tapism and the excavation had to be stopped two years back.
“We have conducted a detailed survey of the Moghalmari site and examined the antiquities to conclude that the remnants of a seventh century Buddhist monastery might exist there. We will start excavation on November 20 and only thereafter be able to put our seal on the findings,” said Gautam Sengupta, director of state archaeology directorate.
Chinese scholar Hiuen Tsang in his memoirs, dating back to the seventh century, had written about some prominent Buddhist monasteries in Tamralipta state (where Dantan is located). However, apart from the one at Karna Subarna (today’s Murshidabad), no one has been able to trace any monastery anywhere in Bengal.
In 2003, Indologist and coins expert B N Mukherjee, along with some CU scholars, had first visited Dantan to document the navigational history of Bengal. During their recce, these scholars were shown a huge mound at Moghalmari which was popular in local lore as Sashi Sena or Sakhi Sena.
“As the partly excavated site stands now, it is an 11-feet high plinth with divine, human, animal, floral and abstract stucco figures on it. It is a tri-ratha structure, typical of Buddhist monastic architecture, complete with innumerable cells for the monks to live in. The large number of cells indicate that it was a huge monastery. Besides royal patronage from Shashanka, the monastery was patronized by merchants who used the Dantan port,” said Rajat Sanyal, a CU archaeology faculty member who has been part of the excavating team.
Subscribe to:
Posts (Atom)